দিগন্ত ডেক্স : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি কল্যাণমূলক কাজ করে গেছে শেখ কামাল। ওই বেঁচে থাকলে যুব সমাজের জন্য অনেক অনেক কাজ করে যেতে পারতো।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে তিনি যুক্ত হন। যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবার স্নেহ থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। কামাল আর আমি পিঠাপিঠি ছিলাম। বাবা তাকে খুব আদর করতো। ওর মধ্যে ছোটবেলা থেকে কর্তব্যবোধ ছিলো। এমন কোনো খেলা নেই যে কামাল খেলতো না। সে চমৎকার নাটক করতে পারতো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করে কামাল। ওই অঞ্চলের লোকজন যাতে খেলাধুলা করতো পারতো এটাই তার উদ্দেশ্য ছিলো।’
তিনি জানান, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় যে উৎকর্ষতা তাতে কামালের অবদান রয়েছে। প্রত্যেকটা আন্দোলনে সে অংশ নিতো। একটা অদ্ভুদ সাংগঠনিক দক্ষতা ওর ছিলো। তার প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর পরিবেশ গড়ে ওঠে। সংগীত অঙ্গনেও ছিলো তার অবদান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কামাল অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন-যাবন করতো। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি তার দৃষ্টি ছিলো না। সে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতো। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে।’
একটা জাতিকে গড়ার জন্য শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া পুরস্কারের মধ্যদিয়ে যেমন শেখ কামালের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে, তেমনি ক্রীড়াঙ্গণে মানুষের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে, উৎসাহী হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় মর্যাদা বয়ে আনতে সকল কে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান।