দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শংকরপুর গ্রামে এক কৃষক পরিবারের আবাদকৃত ফসলি জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার এক রিপোর্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী নালিশী ভূমিতে ২য় পক্ষের দখলে নাই। কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামবাড়ি গ্রামের মৃত.ইরাজ আলীর পুত্র অভিযুক্ত সবুজ মিয়া সহ ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত ভূমিতে প্রবেশ নিষেধ মর্মে ১৪৪ ধারা জারি করে।
মামলার লিখিত বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ শংকরপুর মৌজায় ১৬৩২০ নং দাগে সাফ কাওলা মূলে ২০.০১ একর ক্রয় করেণ। এস.এ রেকর্ড মূলে মালিক হামিদ ব্যাপারির ওয়ারিশন গণের কাছ থেকেও ২০.০০ একর জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া নাটেরকোনা গ্রামের ইদ্রিস আলী,সহোদর ভাই ও ভাতিজা। উক্ত স্বত্ব দখলীয় ভূমি কাকৈরগড়া ইউপির তাতিরকোনা গ্রামের বাচ্চু মিয়া বর্গাচাষ করে আসছিল। প্রতিবছরে ফসলি জমির উৎপাদিত বর্গা অংশ বুঝিয়ে দিয়ে আসছে। সম্প্রতি ওই ৪০ বছর ধরে দখলীয় জমিতে চাষ করে আসা বর্গাচাষীদের হাল চাষ করতে নিষেধ করে ও মারপিট করতে উদ্যত হয় রামবাড়ি গ্রামের মোঃ সবুজ মিয়া গংরা। খবর পেয়ে নি¤œ তফসিল বর্ণিত ভূমিতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তফসিল বর্ণিত ভূমির মালিক ইদ্রিস আলী। আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এমনকি শংকরপুর মৌজার ৪৪৫২ দাগের ২একর জায়গার দক্ষিনাংশে স্বত্ব দখলীয় জমি থেকে শ্রীপুর গ্রামের মৃত. রহমত আলীর পুত্রদ্বয় ভূমিদস্যু সুজন মিয়া (৪২), মিলন মিয়া(৩৮) জোরপূর্বক প্রকাশ্য দিবালোকে মিষ্টি কুমড়া তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে কোথায় নালিশ করেও বিচার পাচ্ছিনা বলেও দাবী করেণ ভূক্তভোগী ইদ্রিস আলী।
স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব বলেন, জমি বিরোধের এ বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলামান রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এ বিষয়টি মিমাংসার আমি চেস্টা করছি।
বিজ্ঞ উপজেলা নিার্বহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ইউএনও ফারজানা খানম জানান, অত্র আদালতে একটি দরখাস্ত মামলা নং-১০৩/১৯, ধারাঃ ফৌঃ কাঃ বিধি ১৪৪ জারি করা হয়েছে। আদালতের রায় অমান্যকারী ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।