দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : সরকারি নির্দেশ অম্যান্য করে নেত্রকোণা দুর্গাপুরে সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলেও তা আমলে নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুরে এমনটাই জানালেন ভর্তিকৃত স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান এর নির্দেশে, ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক শাহজাহান সিরাজ সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগন নানা গোঁজামিল দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ ২৭০০/- করে নিয়েছেন যা সরকারি নিতিমালা বহির্ভুত। করোনার মহামারি ও কর্মহীন হয়ে পড়া অভিভাবকদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধোর সন্তান ভর্তিতে নির্ধারিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না এমন এমন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, অগ্রীম অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ফি বাবদ ৪২০, নাস্তা খরচ বাবদ ১৫০ টাকা, রশিদ বিহীন ১৫০/- সহ যাবতীয় খরচের বিষয় উল্লেখ করে মানবিক ও ব্যবসা শাখায় (ভর্তি ফি সেশন বাবদ ১৫০০) টাকাসহ মোট ২৬৭০ এবং বিজ্ঞানে (ভর্তি ফি সেশন বাবদ ১৫০০) ২৯২০ টাকা নিয়ে ভর্তি করা হয়। এদিকে প্রতিদিনই শত শত শিক্ষার্থী ভর্তি রশিদ নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে ভিড় করছে টাকা ফেরত নেয়ার জন্য।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি কলেজে কোনো সভাপতি নেই। প্রিন্সিপালই সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব। স্টাফ কাউন্সিলের সিদ্বান্ত নিয়েই ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অতিথিদের যে চা খাওয়ানো হয়, সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, নানা কৌশলে এটা বের করতে হয়। ‘স্টাফ কাউন্সিলের মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ এ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে তা বলেননি তিনি। এ নিয়ে ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক শাহজাহান সিরাজ এর সাথে কথা বলতে চাইলে এ নিয়ে মন্তব্য করেননি তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা খানম বলেন, ‘সরকারি বিধি-বহির্ভূত একাদশ ভর্তিতে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে এ খবর পেয়ে কলেজ পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশও দিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত কেন অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়া হয়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।