দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে টানা বর্ষনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেতাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই নদীর বেড়ি বাঁধ না থাকায় উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান, ভাদুয়া, জাকিরপাড়া, শ্রীপুর সহ প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মঙ্গলবার দুপুরে পানিবন্দি এলাকা ঘুরে এমন করুণ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে বন্দ উষান গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নৌকা ও কলার ভেলা তৈরি করে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেয়ার চেষ্টা করছে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন পানিবন্ধি পরিবার গুলো। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দ উষান বাজার, এবতেদায়ী মাদরাসা, মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। যেকোন সময় নদী গর্ভে তাদের ঘরবাড়ি বিলিন হতে পারে বলে রাত জেগে পালা করে পাহাড়া দিচ্ছেন অনেকে। আতঙ্কে রয়েছেন ওই এলাকার পরিবার গুলো। দ্রæত ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান জানান, নদী ভাঙনের ফলে ঘর-বাড়ি বেঁধে রাতে ঘুমানোর জায়গাটুকু পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে। আমার মৃত্যুর পর নিজের লাশটিও কবর দেয়ার উপায় রইলো না। সম্প্রতি অন্যের জায়গায় ঘরবেঁধে জীবিকা চালাচ্ছেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা জেলার উপ-প্রকৌশলী মোঃ রহিদুল হোসেন খান এ প্রতিনিধিকে জানান, বন্যার পানি এখন কমতে শুরু করেছে। তবে আকস্মিক বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশক’টি জায়গার বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ও রয়েছে বেশক‘টি। বরাদ্দ পেলেই ওইসব জায়গায় বাঁধ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ইউএনও ফারজানা খানম বলেন, উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলে জরুরী ভিওিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভাঙন রোধে বিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। অচিরেই কাজ শুরু করবো।