দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : “আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দ্বিতীয় পর্যায়ে জমি সহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে বেশকিছু দরিদ্র পরিবার কে। সেই ঘর নিয়ে সারা দেশেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘর পরিদর্শন করেন স্থানীয় এমপি মানু মজুমদার। সোমবার বিকেলে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণেরচর এলাকায় এ ঘর পরিদর্শন করা হয়।
ঘর পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান শেষে উপকারভোগিদের সাথে ঘরনির্মানের গুনগন মান নিয়ে কথা বলেন। তাদের খোজ-খবর নেন। সেই সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঘরে বসবাস কৃতদের মাঝে ঈদের দিন গোশ্ত খাওয়ার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন।
ঘরপ্রাপ্ত উপকার ভোগী সুবল দাস বলেন, আমার কোন জমি ও কোন ঘর ছিল না। এখন আমার মাথা গোজার জায়গা হইছে। জোবেদা বেগম বলেন, আগে আমরারে ফহির কইছে, এইনে অইনে থাকছি, অহন আমরা ফহির না? খুব শান্তি লাগে নিজের ঘরে থাহি। প্রধানমন্ত্রী আমারার স্বপ্ন পুরন করছইন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা, সহকারী কমশিনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, ওসি শাহনুর এ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব, যুবলীগ সহ-সভাপতি পাভেল চৌধুরী সহ দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষের প্রতিটি ঘর আমরা চ্যলেঞ্জ ও আন্তরিকতার সহিত নির্মান করেছি। নির্মানের প্রতিটি ধাপের কাজে উপজেলা প্রকৌশলী, এসিল্যান্ড, পিআইও সহ অন্যান্য অফিসারদের পাঠিয়ে প্রায় সময়ই তদারকি করিয়েছি। ঘরনির্মান কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলা প্রশাসক স্যার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন, আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। উপকারভোগীদের চোখে-মুখে আনন্দ দেখে মনে হয়েছে আমাদের সকল শ্রম সার্থক হয়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয় এমপি মানু মজুমদার বলেন, হস্তান্তরকৃত ঘর গুলো দেখে আমি সত্যিই খুশি হয়েছি। যে কাজ আন্তরিকতার সাথে করা হয় তার ফল তো ভালই হবে। দুর্গাপুর উপজেলায় মুজিব বর্ষের ঘর নির্মানে অনিয়ম হয়েছে এমন কোন অভিযোগ আমি পাইনি। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাজ, এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হলে তা মেনে নেয়া হবে না।