দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর পৌশ শহরের মধ্য বাজার পশ্চিম গলিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ৯টি দোকান ঘর ভষ্মিভুত হয়। এতে প্রায় ২০কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, রাত ১২টার দিকে আকষ্মিকভাবে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় এবং মূহুর্তের মধ্যে তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত জনতা তাৎক্ষণিকভাবে আশেপাশের বাড়ী ও বিভিন্ন জলাধার থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই কাপড়ের দোকান, গার্মেন্টস, ভ্যারাইটি ষ্টোর সহ ৯টি দোকান অনেকাংশ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ্য দোকান গুলো বিপ্লব কুমার সাহার অপুর্ব ফ্যাশন, স্বপন কুমার সাহার আপন মনি স্টোর, অনুজ সাহার সৌখিন গার্মেন্টস, ধ্রুব সাহার আদর্শ বস্ত্রালয়, আজিজুল ইসলামের লাকি গার্মেন্টস, সুকুমার সাহার সাহা বস্ত্রালয়, আক্তার হোসেন এর আপন মনি স্টোর, বাহার মিয়ার মালের গোডাউন ও শহিদুল ইসলামের হাসান বন্ত্রালয়ে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তবে শত চেষ্টা করেও দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট আগুনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ী তাদের পরিবারের লোকজনকে সর্বস্ব হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিসকে আগুন লাগার সাথে সাথে খবর দেয়া হলেও অনেক দেরিতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের কার্যক্রম শুরু করার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা পৌর শহরে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের দোকানের মালামাল সড়িয়ে নিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট উপস্থিত হয়ে ভোর ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে এ অগ্নিকান্ডের সঠিক কোন কারণ জানা না গেলেও অনেকেই ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম, এএসপি দুর্গাপুর সার্কেল মাহমুদা শারমিন নেলী, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। ইতোমধ্যে আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতির পরিমান ও দোকানের মালিকদের তালিকা সংগ্রহ করে যতদুর সম্ভব আর্থিক সহায়তা দিতে চেষ্টা করবো।