দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর ৩নং বালু মহালের ইজারাদার ঝুলন কুমার সাহা, বালু ঘাটকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ভূমি দস্যু, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের অনৈতিক ও বে-আইনী কর্মকান্ড এবং করোনা ভাইরাসের কারনে বালু উত্তোলন কার্যক্রম মারাত্মক বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় বালু মহালে সীমানা নির্ধারণসহ আরো ১ বৎসর ইজারা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এক সংবাদ সম্মেলন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনোয়ার হোসেন মাসুম।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, উক্ত বালি মহালটি ১৪২৭ বাংলা সনের ১ লা বৈশাখ হতে ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত ভ্যাট ট্যাক্স ব্যাতীত বার কোটি চার লক্ষ টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা নেন। সারাদেশে করোনা ভাইরাস জনিত কারনে লকডাউন থাকায় ইজারাকৃত সময়সীমা শুরু হওয়ার দুই মাস পর সীমানা নির্ধারন ছাড়াই বালু উত্তোলন করার কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। উত্তোলন শুরু করার পর থেকেই অবৈধ দখলদারদের চাঁদাবাজী, পাশ^বর্তী জমির মালিকদের অত্যাচারে প্রতিনিয়তই উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বার বার জানালেও এর কোন সুষ্ঠ সমাধান না দিয়ে নানা অজুহাতে শুধু শুধু কাল ক্ষেপন করার কারনে আমাদের ব্যবসায়িক ভাবে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে হয়। তাছাড়া আমার ইজারাকৃত ৩৪১.০৬ একর বালি মহালটি প্রবাহমান নদী-নদীর তীর না থাকায় এবং পূর্বের ইজারাদারগণ প্রায় সম্পূর্ণ বালু উত্তোলন করে ফেলার কারনে বর্তমানে ৩নং বালু মহালটি প্রায় বালু শূন্য অবস্থায় থেকে যায়। কিছু পরিমাণ বালু থাকলে স্থানীয় অবৈধ দখলদারদের কর্তৃক চাঁদাবাজি সহ নানা বাঁধার কারণে বালু উত্তোলন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায়, আমার ইজারাকৃত বালু মহাল করোনা পরিস্থিতি, স্মরণকালের দীর্ঘমেয়াদী বন্যা এবং অবৈধ দখলদারদের চাঁদা দাবীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায়, আরো ১ বৎসর ইজারা মেয়াদ বাড়ানোর বিবেচনা করার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। এ সময় ইজারাদারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আনসারী, মো: ফজলুল হক, আশীষ সাহা প্রমুখ।