দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর সদরে ও এম এস’র ১০ টাকা কেজি মুল্যের চাল কিনতে এসে অসংখ্য ক্রেতা ফেরত গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রচন্ড রৌদ্রে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল নিয়ে বাড়ি যেতে পারেনি এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নাজিরপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা প্রাদূর্ভাবে উপজেলাব্যাপী লকডাউন থাকা সত্বেও পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে পায়ে হেঁটে দুর-দূরান্ত থেকে চাল নিতে আসা কর্মহীন মানুষের দীর্ঘ লাইন। দুর্গাপুর পৌরসভায় জনপ্রতি ৫কেজি করে চাল ১দিন পর পর ২শত জনকে দেয়ার কথা থাকলেও বিপত্তি বাঁধে সেখানে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ২৫-৩০ জন ব্যক্তি চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া ক্রেতাদের আগামী বৃহস্পতিবার আসতে বলেন ডিলার বিপ্লব কৃষ্ণ রায়। চাল নিতে আসা রতন, মতিশ, নিরঞ্জন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাল না নিলে বাড়ীতে গিয়ে কি বলবো, ছেলে-মেয়েদের মুখে ভাত তুলে দেয়ারও উপায় রইলো না। রোদে দাড়িয়ে যে কষ্ট হয়েছে তা বিফলে গেলো।
উপ-সহকারি খাদ্য কর্মকর্তা ও চাল বিতরণে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার সিবলী নোমান জানান, পৌর সদরে সপ্তাহে তিনদিন বিতরণ করা হয়। একদিন পর পর চাল ৫ কেজি করে ২শ জনের মধ্যে ১টন বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই চাল পাননি বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ডিলার বিপ্লব কৃষ্ণ রায় বলেন, যে পরিমান লোক উপস্থিত হয় সে তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেক লোকই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। ২শ জনকে ৫কেজি করে চাল বিতরণ শেষে দোকান বন্ধ করা হয়। বরাদ্দ না বাড়ালে এভাবেই অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরে যাবে।