দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর ৩নং ঘাটের বালু ইজারাদার ঝুলন কুমার সাহা দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার রাতে স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদার ঝুলন কুমার সাহা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৪২৭ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে ৩নং ঘাট ইজারা নেই। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাসের কারনে আমায় ২মাস বিলম্বে বালু মহালটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে অর্থলোভী প্রকৃতির দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার, তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমার কাছে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের চাদাঁ দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ার কারনে আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বালু পরিবহনকারী প্রতিটি গাড়ি হতে জোর পূর্বক মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে তা না পেয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি। এ বিষয়ে সুরাহা না হওয়ার আগেই গত ১০ জুলাই বিকেলে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ইজারাকৃত সীমানার মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে ড্রাইভার, হেলপারদের কাছে চাঁদা দাবী করলে তা না পেয়ে আমার লোকজনের উপর অর্তকিত হামলা চায়িয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীগন আমাকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘাটের রাজস্ব আদায়ের কানিয়াইল ও সাগরদীঘি এলাকার দুটি অফিস ভাংচুর করে প্রায় ১,৫০,০০০ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। অতর্কিত হামলার শিকারে অনেকে মারাতœক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ অবস্থায় বালু মহালটি বন্ধ হয়ে গেলে সরকারের রাজস্ব আদায়, শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থান ও আমার ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি রোধকল্পে ও বালুমহালের সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার নিমিওে আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জি, যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হান্নান, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।