দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নদীর পাশে অন্যের জমির উপর নির্মিত খুপরি ঘরে আর বসবাস করতে হবে না অসহায় বাসন্তী রানী কে। স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছেন ওই স্বামী পরিত্যক্তা সহায়-সম্পদহীন নারী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছেন তিনি। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর দ্বিতীয় পর্যায়ে গত রোববার সারাদেশের ন্যায় দুর্গাপুরেও ৪৫টি পরিবারের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘরপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন দুর্গাপুর পৌর শহরের শিবগঞ্জ বাজার এলাকার বাসন্তী রানী দাস।
স্বামী পরিত্যক্তা বাসন্তীর চাই সরকারি ঘর’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সেই সংবাদের সূত্র ধরেই বাসন্তী রানীর ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। পরিত্যক্তা বাসন্তী রানীকে ৬ বছর পূর্বে তাঁকে রেখে স্বামী শীতেশ অন্যত্র বিয়ে করে পৌরসভার আবাসন এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁর চার মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। পুতুলি রানী দাস (২২), পূর্নিমা রানী দাস (১৮) দুই কন্যাকে এখনো অর্থাভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না তিনি। পৌরসভার খুঁজিউড়া এলাকার ভোটার বলেও জানা গেছে।
ঘর পেয়ে বাসন্তী রানী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘‘দ্যাশের পরধানমন্ত্রী আমরার মত্ত মাইনশেরে ঘর দিছইন, ঘর হাইয়্যা আমি খুশি অইছি, সম্বাদিকরার লাগিন হাইছি এইডা’’ আমরা টেউনু সাইব খুব ভালা, হেইলা আমার দুঃখ্যির কতা হুনছইন, আমি হেইলার লাগিন হার্থনা করি’’
ইউএনও রাজীব-উল-আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী‘র নির্দেশনা মোতাবেক, সারা দেশেই কোন প্রকার ঠিকাদার দিয়ে ঘরের কাজ সম্পন্ন না করে, উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যেখানেই নির্মানে কোন অনিয়ম হচ্ছে শুনেছি, সেখানে আমি নিজেই পরিদর্শনে গিয়েছি। প্রাপ্ত অসহায়দের তালিকা গুলো বারংবার যাচাই বাছাই করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সঠিক গৃহহীন ও ভুমিহীনদের মাঝে ঘর দেয়া হয়েছে। এ সকল কাজ গুলো বাস্তবায়নে যারা সহায়তা করেছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। সরকারের এসকল কাজ বাস্তবায়ন করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।