দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : দুর্গাপুর উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার উঠে গেছে, তেমনি পলিথিনের অবাধ ব্যবহারে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারিভাবে পলিথিন নিষিদ্ধের আইন থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে এর ব্যবহার।
এ নিয়ে শনিবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে আসা পলিথিন গুলো সহজে ব্যবহার যোগ্য হওয়ায় দুর্গাপুর বাজারের এক শ্রেনীর অসৎ পাইকারী পলিথিন ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ পৌরশহরের বিভিন্ন দোকান গুলোতে সরবরাহ করছে। বিগত সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পলিথিন নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও বতর্মানে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ওই ব্যবসায়িরা। পৌরশহর ও আশপাশের হাটবাজারগুলোতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ স্বচ্ছ ও পাতলা পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণ সহ ব্যবহার বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে।
পরিবেশবাদী সংগঠন (বেলা)‘র স্থানীয় প্রতিনিধি আশুতোষ সরকার জানান, অনেক সময় লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হলেও এর মূল হোতারা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে পলিথিন ব্যবহার এবং এর ব্যবসা আর বন্ধ হয় না। এতে একদিকে যেমন আইন লংঘিত হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করি বর্তমান করোনা প্রেক্ষপটে যেমন ‘‘নো মাক্স-নো সার্ভিস’’ চালু আছে, তেমনি ‘‘নো চটের বা কাপড়ের ব্যাগ-নো বেচা কেনা’’ তাহলেই রোধ করা সম্ভব হবে পলিথিন। এ সকল প্রতিকারে স্থানীয় প্রশাসন সহ সকলকেই একযোগে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি। #