দিগন্ত নিউজ ডেক্স : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন সেতু (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তার পিতা মো. সোলেমান (৩০)।
সুমাইয়া ইয়াসমিন সেতু দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং তার বাবা সোলেমান একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে। তাদের বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের সিরাজ কাদিরাপাড়া গ্রামে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সোলাইমান হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় সুমাইয়া ইয়াসমিন সেতু ও তার বাবা। এরপর তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর শিশু সুমাইয়া ইয়াসমিন সেতুর মৃত্যু ঘটে।
চিকিৎসক জানান, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত সোলেমানের অবস্থা সংকটাপন্ন।
সোলেমানের স্ত্রী আনুবা ইয়াসমিন রুলী জানান, সকালে মাছের ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়ার পর বাবা ও মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর তারা তিনজনই নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
একই পরিবারের দুজন বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও এলাকার মানুষ ধারণা, বাবা ও সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যেই খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭নং দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল আজিম জানান, তিনি শুনেছেন খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন একই পরিবারের একাধিক সদস্য।