দিগন্ত ডেক্স : শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর শহরের পুরাতন শ্রীবরদী মহল্লার ১৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্ত:সত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থানায় ধর্ষক আব্দুল হাকিম ভুষিসহ (৪০) তিন জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়আনী শ্রীবরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী ধর্ষক আব্দুল হাকিম ওরফে ভুষির প্রতিবেশী। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গার্মেন্টকর্মী ভুষি রস্ত্রী ও মেয়ে ঢাকায় কাজে চলে যায়।
এসময় ভুষি বাড়ীতে একা ছিল। একদিন লম্পট ভুষি একটু সহজ-সরল টাইপের মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে বাড়ীতে আনে এবং ধর্ষণ করে। লজ্জায় মেয়েটি বিষয়টি গোপন করে। কিছুদিন পর শারিরিক পরিবর্তন দেখে মেয়েটির মা মেয়েকে চাপ দিলে সে সবকথা খুলে বলে। পরে এ ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েক বার সালিস-বৈঠক হয়। বৈঠকে ধর্ষক ভুষি এককাঠা জমি মেয়ের নামে লিখে দিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ের পরিবার ওই প্রস্তাবে রাজী না হয়ে রোববার থানায় এসে মামলা করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষায় জানা গেছে মেয়েটি ছয় মাসের গর্ভবর্তী। তিনি আরো বলেন, ঘটনা জানার পর পরই আমরা ধর্ষককে ধরতে অভিযান চালিয়েছি। কিন্ত সে মোবাইল বন্ধ করে পালিয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে ধরে ফেলবো।