দিগন্ত ডেক্স : কার্তিক মাসে হঠাৎ লঘুচাপের কারনে কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা আগামী দু’দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায়। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে যৌবন ফিরে পেয়েছে জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকোমর ও তিস্তায়। লঘুচাপের কারণে ভারী বর্ষণ, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুর ১২ টার তথ্য অনুযায়ী ভারি বর্ষণ, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ব্যারাজের সড়কের ‘ফ্লাট বাইপাস’ ভেঙে গেছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ দিকে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সে.মি নীচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই পানি বাড়বে বলে ধারণা করছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পাশ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাটের মতো কুড়িগ্রামেও
অস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বিডি২৪লাইভকে জানান, লঘুচাপের বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৩৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আগামীকাল শুক্রবার পযংন্ত চলতে পারে। শুক্রবারের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে। পাশাপাশি চলমান ভারীবৃষ্টির কারনে কুড়িগ্রাম জেলায় দিনের গড় তাপমাত্রা অনেকাংশে কমেছে। ভারীবৃষ্টির কারণে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীতে অস্থায়ী বন্যা হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিডি২৪লাইভকে জানান, ধরলা ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। শুধু মাত্র তিস্তায় পানি বাড়ছে। তিস্তার উজানের ঢলের প্রবাহিত পানি বাধের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই। তিস্তার চরাঞ্চলের বাসীন্দারা সাময়িক সময়ের জন্য পানিবন্দি হতে পারেন। তবে এই পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী।