দিগন্ত নিউজ ডেক্স : মহামারী করোনাভাইরাস থেকে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী টাকার নোটকে নিরাপদ রাখার সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ। এই নোটের কোনও প্রকার ক্ষতি না করে তা পরিষ্কারের পদ্ধতি নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন।
এপর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একমত যে, করোনাভাইরাস ড্রপলেট বা ফোঁটা আকারে নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাসনালী হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে। কোভিড-১৯ রোগীর কাশিতে ৩ হাজার ও হাঁচিতে ৪০ হাজার পর্যন্ত ড্রপলেট তৈরী হয়। এই অদৃশ্য ড্রপলেট বা ফোঁটার ব্যাস ৫-১০ মাইক্রোন। ড্রপলেটের নভেল করোনাভাইরাস (SARS-COV-2) প্রায় ৩ ঘন্টা বাতাসে বেঁচে থাকে। এই ড্রপলেট বিভিন্ন বস্তুর উপর পড়ে।
বস্তুভেদে এবং তাপমাত্রা ও আদ্রতার উপর ড্রপলেটের ভাইরাসের আয়ুষ্কাল নির্ভর করে। দেখা যায় কাগজের উপর ভাইরাস বাঁচে ৪-৫ দিন। যেহেতু টাকার নোট কাগজের, তাই ধারনা করা হয় টাকার নোট করোনা ছড়াচ্ছে। কারন টাকা থেকে সহজেই করোনা হাত থেকে মুখ নাক ও চোখ হয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষত কোরিয়া, চায়না ও যুক্তরাষ্ট্র টাকায় করোনা ছড়ানোর বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
যুক্তরাষ্ট্রে সব ডলারের নোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে। প্রায় সব দেশেই ক্যাশ লেনদেন না করে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিংসহ ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভারতে টাকা ধরার আগে পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপর জোর দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশেও এখন করোনার দ্রুত বিস্তার ঘটছে। এই বিস্তাররোধে ড্রপলেটের পাশাপাশি টাকায় করোনা ছড়ানোর বিষয়ে সবার মধ্যে উদ্বেগ লক্ষনীয়। টাকায় করোনা ছড়ানো কিভাবে বন্ধ করা যায় এ নিয়ে বিভিন্ন উপায় খুঁজছে। এমতাবস্হায় আমার কয়েকটি উপদেশ:
১) টাকা ধরার আগে ও পরে ২০ সেকেন্ড সাবান পানিতে হাত ধোন। এর পূর্বে ভুলেও হাত চোখ মুখ নাকে লাগাবেন না। টাকা গোনার সময় জিহ্বার থুতু আংগুলে নিবেন না।
২) টাকা কোয়ারেন্টিন করুন। টাকা ১০-১৪ দিন একজায়গাতে রেখে দিন। এরপর ঐ টাকায় লেনদেন করুন। এরমধ্যে করোনা থাকলেও মারা যাবে।
৩) ক্যাশটাকার লেনদেন যত পারেন কমিয়ে দিন। আশাকরি এই তিনটি পদ্ধতি অনুসরন করলে টাকার নোট থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন হবে না।