কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : সভ্যতা যুগে মানুষের বিকৃত রুচি ! কে নিবে মানসিক যুবতীর অনাগত সন্তানের দায় ? নাম তার রহিমা (ছব্দ নাম )। গায়ের রং কালো। ছিন্ন বিন্ন চেহারা। এর মধ্যে সে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা। প্রাথমিক ধারণা রাতের আঁধারে কোনো লম্পটের যৌন লালসার শিকার হয়েছে ওই যুবতী। ফলে তার শারীরিক গঠনে অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতী অন্তঃসত্বা হওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ আর ঘৃণা প্রকাশ করছেন।
নেত্রকোণার কলমাকান্দার খারনৈ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোবিন্দপুর খেলার মাঠ এলাকায় প্রায় তিন মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন পরিচয়হীন এক যুবতীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। ওই যুবতীর অন্তঃসত্বা বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে ওই যুবতীর একমাত্র আশ্রয়স্থল গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বারিন্দা। তাছাড়া আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে চেয়ে খাবার সামগ্রী এনে সে নিজেই রান্না করে খায় বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, যুবতীর এ অবস্থার জন্য দায়ী কে ? দায়ই বা কারা ? তাদের ধারণা অন্তঃসত্বা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে রাতে আধারে ওই এলাকায় রেখে গেছে । যারা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবতীর সঙ্গে এ অমানবিক কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিউলিপ ম্র্রং স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেন, বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
খারনৈ ইউপির চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল হক এ প্রতিনিধিকে বলেন, গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই যুবতীর অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানান। পরে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি।
ওই ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কর্মী চামেলি চাম্বু গং তিনি প্রতিনিধিকে জানান , বিষয়টি আমাকে জানানো পর আমি নিয়মিত চেকআপ করে ওই যুবতীর স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য সেবার সময় আমি তার মাথায় একটি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবতী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণ হতে পারে। অন্তঃসত্বা বিষয়ে তিনি বলেন, ওই যুবতীর গর্ভে সন্তান প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে ৯ মাসে পরেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম প্রতিনিধিকে জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমের খবর পেয়ে ওই অন্তঃসত্বা যুবতীর খোঁজ খবর নিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ছুটে যাই। আমরা তাকে কলমাকান্দা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই যুবতী অনীহা প্রকাশ করে। পরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার কিছু ঔষধ ও ফলসহ শুকনো খাবার দিয়ে আসি।