কলমাকান্দা(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শিশু শিক্ষার্থী নাতনীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান মিজান নামে কথিত নানাকে শনিবার সুকৌশলে স্থানীয় ইউপি ভবনে আটকে রাখে গ্রামবাসী। পরে তাকে আজ শনিবারে (২০ জুন) বিকালে উদ্ধার করেছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মিজানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিজান উপজেলার খারনৈ ইউনিয়ন খারনৈ গ্রামের মৃত আছর উদ্দিনের পুত্র। সে তিন সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) শিশু শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকা থেকে এক হাজার ৫০০/ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান। ওই টাকা আনার জন্য শিশু শিক্ষার্থী তার বাড়ী থেকে হাট গোবিন্দপুর বাজার উদ্দেশ্য রওনা দেন। ওই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে শিশু শিক্ষার্থী কথিত নানা মিজানুর রহমানের দোকানের সামনে দাঁড়ালে মিজানুর মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার দোকান ঘরের ভেতরে নিয়ে বিবস্ত্র করে সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মিজানুর। কিন্তু রাস্তার পাশের ওই ঘরে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। শিশুটির মা ও বাবা ঢাকায় চাকুরী করার সুবাদে সে তার দাদা-দাদির কাছে থেকে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
ওই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রত্যক্ষদর্শী ওই ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আজিজুল হক ও চা দোকানদার আব্দুর রাশিদ বলেন, অভিযুক্ত মিজানুর রহমান লম্পট প্রকৃতির লোক। এর আগেও মিজান একাধিকবার এধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে এলাকায় ।
এব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম গ্রেফতারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (২১জুন) সকালে নেত্রকোনা জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে।