কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কলমাকান্দায় টানা বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি ; বিপদসীমার ১২ সে.মি. নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত ; তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১ হাজার হেক্টর আমন ধান, ফের বন্যা আশঙ্কা!
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণে প্রায় ২ হাজার হেক্টর আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সে.মি. নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফের বন্যা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
গত পাঁচ দিনে আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টায় পযন্ত ১৩২ মি. মি. বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। উপজেলার কলমাকান্দা টু বরুয়াকোনা ও বিশরপাশা এলজিইডির সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সকাল থেমে থেমে টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণে কারণে উপজেলার সীমান্তবর্তী গনেশ্বরী নদী , মঙ্গলেশ্বরী নদী, মহাদেও নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার প্রধান নদী উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সে.মি. নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফের বন্যা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ২ হাজার হেক্টর আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে ।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণে কারণে উপজেলার রংছাতি, খারনৈ, নাজিরপুর, কৈলাটি,কলমাকান্দা, পোগলা, লেংঙ্গুরা ও বড়খাপন ইউনিয়নের পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলের আমন ধানের ক্ষেত প্রায় ২ হাজার হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে । ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, নিম্নাঞ্চলে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশী আমন ধান জমি পানিতে তলিয়ে গেছে । ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে রংছাতি ইউনিয়নে বেশি।