কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সরকারি খালে মাটি ভরাট করে বসতবাড়ী তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের হরিনাকুড়ি গ্রামের মো. রহুল মিয়া’র বিরুদ্ধে। এ জলাবদ্ধতায় ওই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন !
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সতের হাতি গ্রামে মুসলিম, আদিবাসী, হাজং সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মানুষের বসবাস ৷ প্রায় ৪০ বছর আগে মাটি ভরাট করার জায়গাটি সরকারি হালট ছিল। যা বর্তমানে একটি খালে (মহাদেও কথিত নামে ) পরিণত হয়েছে। ওই খাল দিয়ে উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি মহাদেও নদীতে অনায়াসে নেমে যেত। সম্প্রতি ওই স্থানে মো. রহুল মিয়ার বসতবাড়ী স্থাপনা বানানোর উদ্দেশ্য খালের দক্ষিণ পাশে নদীর মুখসহ প্রায় ১০০ ফুট মাটি ভরাট করে একছালা টিনের ছাপড়া ঘর তোলেন যার ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ওই এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বসতবাড়ি ও ফসলের জমিসহ দুর্ভোগ শিকার হন গ্রামবাসী।
এদুর্ভোগ থেকে প্রতিকারের চেয়ে গ্রামবাসীরা একই ইউনিয়নের হরিনাকুড়ি গ্রামের আ: মান্নানের ছেলে মো. রহুল মিয়া’র বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার এর বরাবর ও উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানকে অনুলিপি দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ।
আজ বুধবার (০৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গেলে ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় প্রতিবেদকের সাথে আক্ষেপ করে কথা বলেন অরুনা মনং,নজরুল ইসলাম, শিশির দাজেল,মজিদা খাতুন, হেলাল উদ্দিন, মাসুদ রানাসহ মুসলিম, আদিবাসী ও হাজং সম্প্রদায়ের লোকজন । এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. রহুল মিয়া’র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন ওই খালে মাটি ভরাট করার কথা অকপটে স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন আমরা আমাদের নিজস্ব রের্কড সম্পত্তি মাটি ভরাট করে একছালা টিনের ছাপড়া ঘর তুলেছি। আমরা এখানে বসতবাড়ী বানাবো।
এব্যাপারে রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন সতের হাতি গ্রামবাসীদের লিখিত অভিযোগের কপি পেয়েছি। আমি সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও মহোদয়কে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. সোহেল রানা এর নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সুপারিশসহ সতের হাতি গ্রামবাসীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইউনিয়ন নায়েবকে তদন্ত পূর্বক বাঁধটিকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।