দিগন্ত নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিজ্ঞানীরা এর প্রতিষেধক এবং ওষুধ উদ্ভাবনে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। গবেষণায় উঠে আসছে বেশ কিছু পরিচিত ম্যালেরিয়ার, এইচআইভি ও ইবোলা ভাইরাস মারার ওষুধ, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক।
এই অবস্থায় জর্ডান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরালের পাশাপাশি, ম্যালেরিয়ার ওষুধ ‘হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন ( hydroxychloroquine – brand name Plaquenil)’ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ।
ভারতেও এই ওষুধ ব্যাবহারের অনুমোদন দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর-ICMR recommended the use of hydroxychloroquin)। তবে, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শুধুমাত্র সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেন, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ও এজিথ্রোমাইসিনের যুগলবন্দিই নাকি সেই ম্যাজিক ওষুধ, যে করবে মুসকিল আসান। এবং এই অসাধ্য সাধনের জন্য আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ-কে অনেক ধন্যবাদ দিলেন তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বিশ্বের ৩০টি দেশের ছয় হাজারেরও বেশি চিকিৎসক করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় অ্যান্টি-ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন ব্যবহারে সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন ।
সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, বিসিজি (ব্যাসিলাস ক্যালসেট গুউরিন) যেসব দেশ দীর্ঘদিন ধরে বিসিজি টিকা দিয়ে আসছে সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের হার কম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে স্বাধীনতার আগ থেকেই বিসিজি টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে করোনার ওষুধ (Corona Virus Medicine) প্রদান করেছে ডেল্টা ফার্মা। গত সোমবার সকালে ডেল্টার এমডি ড. মো. জাকির হোসেন ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের হাতে ওষুধগুলো তুলে দেন।
এ ওষুধ দিয়ে ১৮ হাজার করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করা যাবে। এর মধ্যে আছে হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন এবং এজিথ্রোমাইসিন। ডেল্টা তিন লাখ হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন এবং এক লাখ ২০ হাজার এজিথ্রোমাইসিন (Erythromycin) দিয়েছেন।
এছাড়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে । বিশ্বের মৃতের সংখ্যা প্রায় ১লক্ষ।