দিগন্ত ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর তীর থেকে আরো দু’নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (১৪ জুন) বিকালে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ দল হ্নীলা ইউনিয়নের আলী খালী এলাকার নাফনদীর কিনারায় ভাসমান অবস্থায় দু’নারীস মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো প্রায় বিকৃত হয়ে গেছে। এ নিয়ে তিনদিনে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার হলো নাফ নদীর তীর হতে। মৃত দেহগুলো উদ্ধার হলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
টেকনাফ থানার ওসি জানান, টেকনাফের হ্নীলায় নাফ নদীর তীরে কেওড়া বাগানে দুটি মরদেহ দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরেদহগুলো উদ্ধার করে। মরদেহগুলোর আকার পরিবর্তন হয়ে গেছে। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয় মরদেহগুলো। এর আগে রবিবার এক শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। প্রথমত শনিবার একই নদীর তীর হতে দুই শিশুসহ রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে বলে দাবি করেছে শরণার্থী ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ।
এসময় ঝড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন জনের মরদেহ পাওয়া যায় শনিবার। এর পর একজন এবং পরে আরো দুজনের মরদেহ মিলেছে। এতে নৌকায় আরো বেশি লোকজন ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় কত লোক ছিল, আরো কত লাশ সাগরে ভাসছে এ নিয়ে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। অথচ রোহিঙ্গাদের নাফ নদীতে বিচরণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। স্থানীয় জেলেরা অভাব-অনটনে জীবন পার করছে। নাফনদীতে রোহিঙ্গাদের মরদেহ উদ্ধারের পর মনে হচ্ছে, শরণার্থী শিবিরে কড়াকড়ি নেই। ফলে রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিচরণ করছে। ফলে এই সমস্ত দুর্ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে স্হানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
উখিয়ার বালুকালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১১ ইনচার্জ (সহকারী সচিব) আরাফাতুল আলম বলেন, খবর পেয়েছি আরো দুটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে উদ্ধার শিশু এবং সোমবার উদ্ধার মরদেহের লোকগুলোর পরিচয় সনাক্তে কাজ চলছে।