দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের চৌরাস্ত বাজার এলাকার টাঙ্গাইল টাংগাইল নদীর উপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন প্রায় ৩গ্রামের মানুষ। একটি সেতু নির্মাণ করা হলে আমপাশের ৩গ্রামের লোকজনের মাঝে ফিরে আসবে স্থস্তির নিঃশ্বাস। রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দূর্ভোগের এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্ডিগড় ইউনিয়নের টাংগাইল নদীর উপর দিয়ে প্রতিবছর বাঁশের সাঁকো তৈরী করে রাস্তা পারাপার করছে স্থানীয়রা। তবে এবার ওই নদীর উপর কোন সাঁকো তৈরী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অশংখ্য লোকজন। লোহারগাঁও, চৌরাস্তা সহ চন্ডিগড় গ্রামের লোকজন সারাবছর পায়ের জুতা খুলে নদী পার হতে হয়। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে চারদিকে কাঁচা রাস্তা ভারী হয়ে যায় লোকজনের চলাচল। টাংগাইল নদীর এ দুঃখ-দুর্দশা থেকেই রেহাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। স্থানীয় সচেতন মহল বারং বার স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেও সেই নদীর মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন সেতু নির্মাণের আশ্বাস পাননি স্থানীয়রা। এই নদীর উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে গ্রামের প্রায় চার হাজার লোকজন। নদীতে সেতু না থাকায় প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি পড়তে হয় সাদারণ মানুষদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু ভুক্তভোগী জানান, আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রধান রাস্তাই হচ্ছে এটি। কিন্তু নদীর মধ্যে কোন প্রকার সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই নদী পাড়ি দেই আমরা। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে তা আমরা জানিনা। তবে প্রতিবছর একবার করে এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে থাকি। তাছাড়া, এলাকায় রয়েছে অসংখ্য স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন পাঠাগার। তবে নদীর মধ্যে সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত বড় ধরনের সমস্যায় পড়ছি আমরা এলাকাবাসী।
স্থানীয় চন্ডিগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল এ প্রতিনিধিকে জানান, এর আগেও আমি চেয়ারম্যান থাকা কালীন স্থানীয় এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি। অনেকবার সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছি। ইতোমধ্যে এমপি মানুমজুমদার এর সাথে কথাও বলা হয়েছে। আশা করছি অচিরেই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।